মূলত বয়স ৩৫ পেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই চোট সারিয়ে আগের মতো ফিরতে কোর্টে পারছিলেন না নাদাল। কিন্তু তারপরও চালিয়ে গেছেন প্রাণশক্তি নিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। মালাগায় নভেম্বরের ডেভিস কাপ ফাইনালে স্পেনের জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচটি খেলবেন ৩৮ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় নাদাল বলেছেন, 'আমি এখানে আপনাকে জানাতে এসেছি যে আমি পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নিচ্ছি। বাস্তবতা হল এটা (খেলা চালিয়ে যাওয়া) বেশ কঠিন বছর ছিল, বিশেষ করে গত দুটি বছর। আমার মনে হয় না আমি সীমাবদ্ধতা ছাড়া খেলতে পেরেছি।'
ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা নিজ দেশের হয়ে খেলতে পারায় বেশ উচ্ছ্বসিত এই তারকা, 'ছোট থেকে এই একটা খেলাই ভালবেসেছি। কোর্টে নামতে ভাল লাগত। এত দিন ধরে খেলব ভাবিনি। যা ভেবেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছি। নিজের শেষ প্রতিযোগিতা যে নিজের দেশে খেলব, দেশের হয়ে খেলব, তাতে আমি খুব খুশি।'
সবশেষ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন নাদাল। এরপর চোটের কারণে সেভাবে আর ফিরতে পারেননি। ক্যারিয়ারে রেকর্ড ১৪বার ফরাসি ওপেন জিতেছেন নাদাল। ক্লে কোর্টের রাজা বলেই ডাকা হয় তাকে। এছাড়া দুটি করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও উইম্বলডন এবং চারটি ইউএস ওপেন জিতেছেন তিনি।
২০০৮ সালের আগস্টে প্রথমবার এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা নাদাল বিশ্ব টেনিসে দীর্ঘদিন ছিলেন এক নম্বরে। ক্যারিয়ারে মোট ৯২টি শিরোপা জিতেছেন নাদাল। উম্মুক্ত যুগে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে জিতেছিলেন স্বর্ণপদকও। এছাড়া ডাবলসেও অলিম্পিক স্বর্ণপদক সহ ১১টি শিরোপা জিতেছেন তিনি।
ইউএস ওপেনের ফাইনালে আবারও কার্লোস আলকারাজের কাছে হার মানলেন ইয়ানিক সিনার। রোববার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত লড়াইয়ে স্প্যানিশ তারকার কাছে ৬-২, ৩-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে হারালেন বিশ্ব এক নম্বরের আসনও।
নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে রেকর্ড ছুঁয়ে নতুন ইতিহাস লিখলেন ইয়ানিক সিনার। সেমিফাইনালে কানাডার ২৫ নম্বর বাছাই ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমকে ৬-১, ৩-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে টানা পঞ্চম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে পৌঁছে গেলেন এই ইতালিয়ান তারকা। চলতি মৌসুমে এটি তার চতুর্থ ফাইনালও।
ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে দুর্দান্ত টেনিস উপহার দিলেন ইয়ানিক সিনার। নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আলেকজান্ডার বুবলিককে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিলেন বিশ্ব এক নম্বর। সরাসরি সেটে ৬-১, ৬-১, ৬-১ গেমে জিতে মাত্র ১ ঘণ্টা ২১ মিনিটে নিজের দ্রুততম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় নিশ্চিত করেন সিনার।
ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম সেট হারিয়েও ঘুরে দাঁড়ালেন নোভাক জোকোভিচ। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আমেরিকান প্রতিপক্ষ জ্যাকারি সভাজদাকে ৬-৭ (৫-৭), ৬-৩, ৬-৩, ৬-১ গেমে হারিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেন ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এই সার্বিয়ান তারকা।
ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে দুর্দান্ত শুরু করেছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার। নিউইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে চেক প্রজাতন্ত্রের ভিত কপ্রিভাকে সরাসরি সেটে ৬-১, ৬-১, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দেন তিনি।
৩৮ বছর বয়সেও নতুন ইতিহাস গড়ার দৌড়ে আছেন নোভাক জকোভিচ। ইউএস ওপেনে লড়ছেন নিজের ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার খোঁজে। রোববার নিউইয়র্কে প্রথম রাউন্ডে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন সার্বিয়ান এই কিংবদন্তি, তবে ম্যাচ শেষে শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রকাশ করেছেন শঙ্কা।
উইম্বলডনের ঘাসে ফাইনালের হারটা কার্লোস আলকারাজের হৃদয়ে লাগলেও, সেটা তাকে ভেঙে ফেলতে পারেনি। বরং নতুন করে গুছিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে, চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি হচ্ছেন সিনসিনাটি মাস্টার্সে—নতুন লক্ষ্য, নতুন প্রেরণায়।
এক মাস আগেই প্যারিসে হৃদয়ভাঙা অভিজ্ঞতা হয়েছিল ইয়ানিক সিনারের। ফরাসি ওপেনের রোমাঞ্চকর ফাইনালে প্রথম দুই সেট জিতেও হেরে গিয়েছিলেন কার্লোস আলকারাজের কাছে। এবার সময়ের ব্যবধানে সেই আক্ষেপের জবাব দিলেন অল ইংল্যান্ড ক্লাবের ঘাসে। আলকারাজকে হারিয়ে উইম্বলডনের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন ইতালিয়ান তারকা।